Ad Details
-
Ad ID: 5040
-
Added: 11/07/2024
-
Condition:
-
Views: 37
Description
ভূমিকা:
সিটি ব্যাংক পিএলসি (City Bank PLC) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার জন্য নির্দিষ্ট সুইফট কোড ব্যবহার করে থাকে। সুইফট কোড হলো এক ধরনের আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং কোড যা ব্যাংকের মধ্যে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ এবং নিরাপদ করে তোলে। প্রতিটি ব্যাংকের সুইফট কোড ৮ বা ১১ ডিজিটের হয়, যা ব্যাংকের নাম, দেশের নাম এবং শাখার লোকেশন নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ সুইফট কোডে প্রথম চার অক্ষর ব্যাংকের আইডেন্টিফায়ার, পরবর্তী দুই অক্ষর দেশের কোড, এবং পরবর্তী অংশ শহর ও শাখা নির্দেশ করে সিটি ব্যাংকের প্রধান সুইফট কোড হলো CIBLBDDH, যা ব্যাংকের প্রধান অফিসের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন জেলার নির্দিষ্ট শাখার জন্য আলাদা কোড হতে পারে, যা নির্দিষ্ট লেনদেনের প্রয়োজনীয়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সুইফট কী?
সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট)বাSociety for Worldwide International Financial Telecommunication (SWIFT) হল ব্রাসেলস ভিত্তিক আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেনের বার্তা প্রেরণের একটি সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক। নিরাপদ ও দ্রুত অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সুইফট একটি বার্তা নেটওয়ার্ক পদ্ধতি যা মূলত সংকেত লিপি বা নির্ধারিত কোডের মাধ্যমে বার্তা আদান প্রদান এবং নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রতিষ্ঠাতা কার্ল রয়টার্স কিল্ড:
সুইফট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে বেলিজিয়ামের ব্রাসেলসে ও এর প্রতিষ্ঠাতা কার্ল রয়টার্স কিল্ড। বিশ্বব্যাপী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে আর্থিক লেনদেন করতে এই সুইফট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। সুইফট অত্যন্ত জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে তথ্য আদান প্রদানের জন্য সুইফটকে একটি নিরাপদ নেটওয়ার্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আন্তর্জাতিক লেনদেন পরিচালনা:
সুইফট এর সূচনা হয়েছিল আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান ব্যাংকসমূহের উদ্যোগে, যারা প্রত্যাশা করেননি একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোনো একক সিস্টেম তৈরি করে কাজ করবে এবং নিজেদের একচেটিয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন পরিচালনা করবে। সুইফট হলো মূলত আন্তঃব্যাংক সংক্রান্ত তাৎক্ষনিক মেসেজিং ব্যবস্থা যা কোনো লেনদেনের ব্যাপারে গ্রাহককে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেয়। তাই বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ ব্যাংক নিজেদের মধ্যকার বার্তা আদান প্রদানের কাজে সুইফট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে । বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের ১১ হাজারের অধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠা
সুইফট কোড নির্দিষ্ট শাখার:
সিটি ব্যাংক পিএলসি (City Bank PLC) বাংলাদেশের বিভিন্ন শাখার জন্য নির্দিষ্ট সুইফট কোড ব্যবহার করে, যা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কোডের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে অর্থ স্থানান্তর করা যায় সহজে ও নিরাপদে।সুইফট কোড সাধারণত ৮ বা ১১ অক্ষরের একটি কোড হয়, যা ব্যাংকের নাম, দেশের কোড, ও নির্দিষ্ট শাখার লোকেশন নির্দেশ করে। উদাহরণ হিসেবে, সিটি ব্যাংকের প্রধান অফিসের সুইফট কোড হচ্ছে CIBLBDDH। এখানে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে সিটি ব্যাংকের প্রায় ১৩০টি শাখা রয়েছে যা এই সুইফট কোড ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বিশেষত যেসব ক্লায়েন্ট আন্তর্জাতিক লেনদেন বা রেমিট্যান্সের জন্য ব্যাংকের সেবা নেন, তাদের জন্য এই কোড করে থাকে
CIBL: ব্যাংকের পরিচায়ক (City Bank)
BD: দেশের কোড (বাংলাদেশ)
DH: শহর বা লোকেশন (ঢাকা)
প্রত্যেক শাখার আলাদা আলাদা সুইফট কোড থাকতে পারে যা নির্দিষ্ট লেনদেনের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে
প্রাথমিক ব্যাংক ক্যারেক্টার:
সুইফট কোড ৮ টি বর্ণ অথবা ১১টি ক্যারেক্টার নিয়ে গঠিত। যখন ৮ বর্ণের কোড দেওয়া হয়, তখন প্রথম চার বর্ণকে প্রাথমিক ব্যাংক বা অফিস বোঝায়। এর পরের দুই বর্ণ দিয়ে দেশ ও শেষের দুই বর্ণ দিয়ে স্থান নির্দিষ্ট শহরকে নির্দেশ করে। তবে যখন ১১ টি ক্যারেক্টার দেওয়া হয় তখন ৮ টি বর্ণের সাথে অতিরিক্ত ৩ টি লেটার বা ডিজিট দিয়ে নির্দিষ্ট শাখাকে বোঝানো হয়। ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য এই অতরিক্ত ৩ লেটার বা ডিজিট হলো ঐচ্ছিক, কোন প্রতিষ্ঠান যদি শেষের এই ৩ ক্যারেক্টার ব্যবহার না করে তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না।
BD ও DH ক্যারেক্টার :
আমরা যদি ৮ বর্ণের সুইফট কোড লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই CIBLBDDH অর্থাৎ এখানে CIBL দিয়ে সিটি ব্যাংক কে বুঝানো হয়েছে। BD দিয়ে নির্দেশ করে বাংলাদেশ ও DH হলো ঢাকা । আবার ক্যারেক্টার সম্বলিত সুইফট কোড যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই EXBKBDDH007 । এখারে যথারীতি EXBKB দিয়ে এক্সিম ব্যাংক, BD দিয়ে বাংলাদেশ, DH দিয়ে ঢাকাকে বোঝানোর পর ০০৭ দিয়ে যেটি বোঝানো হচ্ছে তা হচ্ছে এক্সিম ব্যাংক গুলশান শাখাকে।