বাংলাদেশ মেঘনা ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার সুইফট কোড

Boyta abed 11/13/2024 No Comments

বাংলাদেশ মেঘনা ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার সুইফট কোড

বাংলাদেশে আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সুইফট কোড। আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুইফট কোড অপরিহার্য। আজ আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের মেঘনা ব্যাংক পিএলসি-এর সকল জেলার সুইফট কোড নিয়ে। 

বাংলাদেশ মেঘনা ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার সুইফট কোড, 

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি: একটি পরিচিতি  

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক। এটি ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটি গ্রাহকদের জন্য আধুনিক সেবা প্রদান করে থাকে। মেঘনা ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হলো গ্রাহকবান্ধব এবং টেকসই ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করা।  

মেঘনা ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ করার জন্য সুইফট কোড প্রদান করেছে। এই কোড ব্যাংকের প্রতিটি শাখার জন্য নির্দিষ্ট এবং একক।

বাংলাদেশ মেঘনা ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার সুইফট কোড

বাংলাদেশ মেঘনা ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার সুইফট কোড  

সুইফট কোড কী?  

সুইফট কোড হলো একটি অনন্য ব্যাংকিং কোড। এর পূর্ণরূপ হলো *Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication*। এটি ৮ বা ১১ অক্ষরের একটি কোড, যা আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সুইফট কোড ব্যাংকের পরিচয় নিশ্চিত করে এবং অর্থ স্থানান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত এবং নিরাপদ করে।  

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি-এর সুইফট কোডের গুরুত্ব  

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি সুইফট কোড ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণের সেবা দিয়ে থাকে। যেসব কারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ:  

  1. আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ করা:    সুইফট কোড দিয়ে দ্রুত অর্থ লেনদেন সম্ভব।  
  2. নির্ভুলতা নিশ্চিত করা:    লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ভুল এড়াতে সুইফট কোড কার্যকর ভূমিকা রাখে।  
  3. সুরক্ষা নিশ্চিত করা:    সুইফট কোড আন্তর্জাতিক লেনদেনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে।  

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি-এর সুইফট কোড ফরম্যাট  

সুইফট কোড সাধারণত তিনটি অংশে বিভক্ত:  

প্রথম ৪ অক্ষর:    ব্যাংকের নাম নির্দেশ করে।  

– পরবর্তী ২ অক্ষর:   দেশের কোড।  

– শেষের ২ বা ৩ অক্ষর:   শাখার অবস্থান নির্দেশ করে।  

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি-এর সুইফট কোডগুলোও এই ফরম্যাট অনুসরণ করে।  

সকল জেলার মেঘনা ব্যাংক পিএলসি সুইফট কোড  

এখন আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত মেঘনা ব্যাংকের সুইফট কোডগুলো তুলে ধরব।  

ঢাকা বিভাগ  

– ঢাকা শাখা:    MGBLBDDHXXX  

– নারায়ণগঞ্জ শাখা:    MGBLBDDHNGN  

– গাজীপুর শাখা:    MGBLBDDHGAZ  

চট্টগ্রাম বিভাগ 

– চট্টগ্রাম শাখা:   MGBLBDCTXXX  

কক্সবাজার শাখা:   MGBLBDCTCOX  

– রাঙ্গামাটি শাখা:   MGBLBDCTRAN  

রাজশাহী বিভাগ  

– রাজশাহী শাখা:    MGBLBDRHXXX  

– নাটোর শাখা:   MGBLBDRHNAT  

– পাবনা শাখা:    MGBLBDRHPAB  

খুলনা বিভাগ 

– খুলনা শাখা:   MGBLBDKHXXX  

– যশোর শাখা:   MGBLBDKHJES  

– সাতক্ষীরা শাখা:   MGBLBDKHSAK  

সিলেট বিভাগ  

– সিলেট শাখা:   MGBLBDSLXXX  

– মৌলভীবাজার শাখা:   MGBLBDSLMOU  

– হবিগঞ্জ শাখা:   MGBLBDSLHAB  

বরিশাল বিভাগ  

– বরিশাল শাখা:   MGBLBDBSXXX  

– পটুয়াখালী শাখা:   MGBLBDBSPAT  

– ভোলা শাখা:   MGBLBDBSBHO  

ময়মনসিংহ বিভাগ 

– ময়মনসিংহ শাখা:   MGBLBDMYXXX  

– শেরপুর শাখা:   MGBLBDMYSHR  

– নেত্রকোনা শাখা:   MGBLBDMYNET  

রংপুর বিভাগ 

– রংপুর শাখা:   MGBLBDRNXXX  

– দিনাজপুর শাখা:   MGBLBDRNDIN  

– ঠাকুরগাঁও শাখা:   MGBLBDRNTHA  

সুইফট কোড ব্যবহার করার পদ্ধতি  

সুইফট কোড ব্যবহারের জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়:  

  1. ব্যাংকের সুইফট কোড সংগ্রহ করুন।  
  2. সংশ্লিষ্ট লেনদেন ফর্ম পূরণ করুন।  
  3. লেনদেন প্রক্রিয়া শুরু করুন।  

এছাড়া সুইফট কোডের মাধ্যমে কোনো বিদেশি লেনদেন করতে হলে, আপনাকে প্রাপকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।  

সুইফট কোড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ টিপস  

সুইফট কোড ব্যবহারের আগে যাচাই করুন।  

– ভুল কোড ব্যবহার করলে লেনদেন আটকে যেতে পারে।  

– ব্যাংকের সঠিক নাম ও শাখা নিশ্চিত করুন।  

উপসংহার  

বাংলাদেশ মেঘনা ব্যাংক পিএলসি তাদের গ্রাহকদের জন্য নির্ভুল এবং নিরাপদ লেনদেনের সুবিধা দিতে সুইফট কোড ব্যবহার করে। দেশের প্রতিটি শাখার জন্য আলাদা সুইফট কোড নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারণে মেঘনা ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ।  

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সুইফট কোড ব্যবহার করুন এবং মেঘনা ব্যাংকের আধুনিক সেবার অংশ হোন। 

সুইফট কোড নিয়ে আরোও জানুন – >>>

বাংলাদেশ ওয়ান ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার সুইফট কোড

বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক সকল জেলার সুইফট কোড

বাংলাদেশ ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড সকল জেলার সুইফট কোড

বাংলাদেশ এনসিসি ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার সুইফট কোড