বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক পিএলসি সকল জেলার SWIFT কোড 

বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সকল জেলার SWIFT কোড , বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহজতর করতে SWIFT কোড ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে SWIFT কোড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। এই কোডগুলির মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক বা শাখাকে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর বিভিন্ন জেলার SWIFT কোডগুলোর তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

SWIFT কোড কি What is SWIFT Code

SWIFT (Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication) কোড একটি ইউনিক আইডেন্টিফায়ার কোড, যা নির্দিষ্ট ব্যাংককে প্রতিনিধিত্ব করে। এই কোডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ব্যাংক চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। সাধারণত, একটি SWIFT কোড ৮ বা ১১ অক্ষরের হয়ে থাকে এবং এতে ব্যাংক, দেশ, স্থান এবং শাখার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকে।

বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক পিএলসি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মূলত বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় পরিচালিত হয়। এই ব্যাংকটি তাদের গ্রাহকদের উন্নত ব্যাংকিং সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই লেনদেনের জন্য এই ব্যাংকটি নির্ভরযোগ্য এবং দক্ষ সেবা প্রদান করে।

বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর SWIFT কোডের তালিকা

এখানে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় অবস্থিত কমিউনিটি ব্যাংকের শাখা এবং তাদের SWIFT কোডের তালিকা প্রদান করা হলো:

SWIFT কোড ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ

SWIFT কোডের ব্যবহার বিভিন্ন কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরা হলো:

1. আন্তর্জাতিক লেনদেন: বিদেশে টাকা পাঠানো বা বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করার জন্য SWIFT কোড অপরিহার্য। এটি ব্যাংকগুলোর মধ্যে নিরাপদে লেনদেন সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
2. ত্রুটি প্রতিরোধ: সঠিক SWIFT কোড ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ত্রুটির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়, যা একটি নির্ভুল লেনদেনের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
3. ব্যাংকের নির্ভুল পরিচিতি: SWIFT কোডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যাংক ও তার শাখাকে দ্রুত এবং সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়, ফলে দ্রুততার সাথে অর্থ স্থানান্তর সম্ভব হয়।

কিভাবে SWIFT কোড ব্যবহার করবেন

SWIFT কোড ব্যবহারের প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং সরল। নিচে এর সাধারণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো:

• ব্যাংকে টাকা পাঠানো: যখন আপনি বিদেশে টাকা পাঠাতে চান, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের SWIFT কোডটি আপনার প্রয়োজন। এই কোডটি প্রদান করলে ব্যাংক সঠিকভাবে নির্ধারিত ব্যাংক এবং শাখায় অর্থ পাঠাতে পারবে।
• টাকা গ্রহণ করার সময়: আপনি যদি বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করতে চান, তবে আপনার ব্যাংকের SWIFT কোডটি প্রেরককে প্রদান করতে হবে। প্রেরক সেই কোডটি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট শাখায় অর্থ পাঠাতে পারবে।

বাংলাদেশে কমিউনিটি ব্যাংক এর SWIFT কোড ব্যবহার বিধি

কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকগণ SWIFT কোড ব্যবহার করে নিম্নোক্ত লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন:

1. বিদেশি অর্থ গ্রহণ: বাংলাদেশে বসবাসরত গ্রাহকগণ তাদের বৈদেশিক আয় যেমন- রেমিট্যান্স, বেতন, ব্যবসায়িক অর্থ ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারবেন SWIFT কোডের মাধ্যমে।
2. আন্তর্জাতিক পেমেন্ট: বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাঠানোর জন্য কমিউনিটি ব্যাংকের SWIFT কোড ব্যবহার করা হয়।
3. ব্যবসায়িক লেনদেন: ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পন্ন করতে SWIFT কোড ব্যবহৃত হয়, যেমন রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে অর্থ লেনদেন।

যেসকল তথ্য SWIFT কোডে অন্তর্ভুক্ত থাকে

বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি সকল জেলার SWIFT কোড , একটি SWIFT কোডে সাধারণত নিম্নোক্ত উপাদানসমূহ থাকে:

1. প্রথম ৪ অক্ষর (ব্যাংক কোড): ব্যাংকের নাম বা শর্টফর্ম নির্দেশ করে।
2. পরবর্তী ২ অক্ষর (দেশ কোড): দেশের নাম নির্দেশ করে।
3. পরবর্তী ২ অক্ষর (স্থান কোড): ব্যাংকের নির্দিষ্ট অবস্থান নির্দেশ করে।
4. শেষ ৩ অক্ষর (শাখা কোড): নির্দিষ্ট শাখা নির্দেশ করে।

উপসংহার

আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর SWIFT কোডগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক SWIFT কোড ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত, সঠিক ও নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করা সম্ভব। আশা করি, এই তথ্যসমূহ বাংলাদেশের কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকদের আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

আরো জানতে এখানে দেখুন এবং পড়ুন >>>>>

বাংলাদেশের মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি-র সকল জেলার সুইফট কোড

বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংক সকল জেলার সুইফট কোড

বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক: সকল জেলার SWIFT কোড