দিনাজপুর কাঠারী ভোগের চিড়া
Nurun Nahar Saju 10/28/2024 No Comments
দিনাজপুর কাঠারী ভোগের চিড়া
দিনাজপুরের কাটারি চিড়া (কাঠাল চিড়া নামেও পরিচিত) এটি উত্তর বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। ধানের কোমল শিশিগুলো (কাঁঠাল) কে বিশেষ প্রক্রিয়ায় চাটাই পাটির উপর চেপে পাতলা চিড়ায় রূপান্তরিত করা হয়। এই চিড়ার স্বাদ, গন্ধ এবং পুষ্টিকর গুণাবলী একে অনন্য করে তোলে।
কাঠারী ভোগের চিড়া
কাটারিভোগ চিড়া এক ধরনের বিশেষ ধরনের চিড়া, যা কাটারিভোগ চাল থেকে তৈরি করা হয়। এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে খুব জনপ্রিয়। সাধারণ চিড়ার চেয়ে এটি তুলনামূলকভাবে ছোট এবং সুগন্ধযুক্ত হয়, যার ফলে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। কাটারিভোগ চিড়া সাধারণত হালকা খাবার হিসেবে দুধ, চিনি বা দইয়ের সাথে খাওয়া হয়, বিশেষ করে সকালের নাস্তায়। এছাড়া পিঠা বা অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতেও এই চিড়া ব্যবহৃত হতে পারে।
কাটারি চিড়া কী?
দিনাজপুরের কাটারি চিড়া (কাঠাল চিড়া নামেও পরিচিত) এটি উত্তর বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। ধানের কোমল শিশিগুলো (কাঁঠাল) কে বিশেষ প্রক্রিয়ায় চাটাই পাটির উপর চেপে পাতলা চিড়ায় রূপান্তরিত করা হয়। এই চিড়ার স্বাদ, গন্ধ এবং পুষ্টিকর গুণাবলী একে অনন্য করে তোলে।
কেন কাটারি চিড়া সবচেয়ে ভালো?
- ধানের সেরা অংশ: কাটারি চিড়া তৈরি করা হয় ধানের সেরা অংশ (কাঁঠাল) থেকে, যা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।
- সতেজ (শেনশা): এটি অপরিপক্ব ধানের শস্য থেকে তৈরি হওয়ায়, কাতারি চিড়ার একটি খুব নরম এবং সতেজ (শেনশা) গঠন রয়েছে।
- বিশেষ প্রক্রিয়া: প্রথাগত প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি কাতারি চিড়াকে একটি সূক্ষ্ম, মিষ্টি স্বাদ দেয়।
- অত্যন্ত পুষ্টিকর: প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর, কাতারি চিড়া অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়।
কাটারি চিড়ার উপকারিতা:
- শক্তি দেয়: কাটারি চিড়ায় কার্বোহাইড্রেটের মাत्रा অধিক যা শরীরে শক্তি দেয়।
- হজমে সহায়ক: কাটারি চিড়ার আঁশ খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাটারি চিড়ায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কোলেস্টেরল কমায়: কাটারি চিড়ায় লো-ফ্যাট মানে কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে।
কাটারি চিড়া কি কারণে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
কাটারি চিড়া ধানের কাঁঠাল থেকে তৈরি করা হয়, যা ধানের দুধ জাতীয় পর্যায়ে থাকে। এই কারণে কাটারি চিড়া নিয়মিত খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
কাটারি চিড়া স্বাস্থ্যের জন্য কেন ভাল?
কাতারি চিড়া কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলের মতো অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এই উপাদানগুলো সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে।
দিনাজপুরের কাটারি চিড়া তৈরির প্রক্রিয়া:
উপকরণ:
- চাল (বাংলাদেশী আমন ধান)
- লবণ
- পানি
প্রণালী:
- চাল ধুয়ে৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
- ভেজা চাল একটি পাতলা কাপড়ে মুড়িয়ে ১২ – ১৪ ঘন্টা রেখে দিন।
- চাল থেকে অঙ্কুর বেরিয়ে এলে, চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
- চাল শুকিয়ে নিন।
- শুকনো চাল হালকা করে ভাজুন।
- ভাজা চাল ঠান্ডা করে কাটা নিন।
- কাটা চাল আবার ভেজে নিন।
- ভাজা চাল ঠান্ডা করে চালা নিন।
- চালা চাল ঝুরঝুরে করে নিন।
- কাটারি চিড়া তৈরি।
- বিশেষ দ্রষ্টব্য:
- কাটারি চিড়া তৈরির জন্য বাংলাদেশী আমন ধান ব্যবহার করা হয়।
- চাল ভেজে কাটা সময় ১০- ১৫মিনিট।
- কাটা চাল আবার ভেজে সময় ৫-১০ মিনিট।
- কাটারি চিড়া ঝুরঝুরে করে রাখার জন্য এয়ারটাইট কন্টেনারে সংরক্ষণ করুন।
কাটারি চিড়া তৈরির প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
কাটারি চিড়া এবং এই ধরনের প্রোডাক্টের মধ্যে পার্থক্য কী?
কাটারি চিড়া ধানের কাঁঠাল থেকে তৈরি করা হয়, যা ধানের ধানের ক্ষীর পরিণত হওয়ার আগের পর্ব। অন্যদিকে, চালের চিড়া পাকা ধান থেকে তৈরি করা হয়। এ কারণে কাটারি চিড়া অন্যান্য চিড়ার চেয়ে বেশি নরম ও মিষ্টি হয়।
কাটারি চিড়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
কাতারি চিড়ায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উপস্থিতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। অতিরিক্তভাবে, কাতারি চিড়ায় থাকা ফাইবার স্বাস্থ্যকর পরিপাক ব্যবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিক রোগ পপ্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
পণ্যের বৈশিষ্ট্য:
- সাধারণ পুষ্টি উপাদান (১০০ গ্রাম কাটারি চিড়ায়):
- শক্তি – ৩৪১ ক্যালোরি
- কার্বোহাইড্রেট – ৭৮ গ্রাম
- প্রোটিন – ৮ গ্রাম
- চর্বি – ১ গ্রাম
- আঁশ – ৫ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম – ৮ মিলিগ্রাম
- লোহা – ২ মিলিগ্রাম
আরো জানতে – >>>