দিনাজপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য

admin 10/28/2024 No Comments

দিনাজপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য

দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, দিনাজপুর জেলা সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে ১১২-১২০ ফুট গড় উচ্চতায় অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে এ জেলা ২৫০১৪ এবং ২৫০৩৮ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮০০৫ ও ৮৫০২৮ ডিগ্রী দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ১৩ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলার আয়তন ৩৪৩৭.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী এর মোট জনসংখ্যা ৩৩,১৫,২৩৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ১৬,৬০,৯৯৭ জন এবং মহিলা ১৬,৫৩,৩০৫ জন। উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে বিস্তৃত এ জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়, দক্ষিণে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, পূর্বে নীলফামারী ও রংপুর জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।  লোকশ্রুতি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে বৃটিশ শাসনামলে ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে বৃটিশরা নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে এ জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর। কোম্পানী আমলের নথিপত্রে প্রথম দিনাজপুর নামটি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। তবে ভৌগলিকভাবে দিনাজপুর মৌজাটি অতি প্রাচীন। দিনাজপুরের ভূতপূর্ব কালেক্টর ও বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ মিঃ ওয়েষ্ট মেকট সর্বপ্রথম দিনাজপুর নাম ও তার উৎস

Read More

কান্তজীউ মন্দির দিনাজপুর ঐতিহ্যের এক অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শন

Sagar Kumar Kundu 10/23/2024 No Comments

কান্তজীউ মন্দির দিনাজপুর ঐতিহ্যের এক অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শন

কান্তজীউ মন্দির দিনাজপুর, কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজীর মন্দির হচ্ছে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অবস্থিত একটি মধ্যযুগের হিন্দু মন্দির। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মিত করেছিলেন। এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুত্র রাজা রামনাথ রায়ের রাজত্বকালে শেষ হয়।  ১৮৯৭ সালে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পে মন্দিরটির নবরত্ন বা ‘নয় শিখর’ ধ্বংস হয়ে যায় । এ মন্দিরে বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে যা  একটি দেখার মত নিদশন। পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই মন্দিরের নির্মাণ এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সুদূর পারস্য থেকে নির্মান শিল্পীদের আনা হয়েছিল । মন্দিরের দক্ষিণ দিকে নয়াবাদ নামক গ্রামে রাজা প্রাণনাথ নির্মাণ শিল্পী এবং শ্রমিকদের বসবাসের জন্য জমি দান করেন। এই শ্রমিকদের অধিকাংশই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তাই ধর্মীয় প্রার্থনা পালনের জন্য তারা নয়াবাদ মসজিদ নির্মাণ করেন যা একই এলাকার আরেকটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। বহু বছর ধরে প্রতি বছর শীতের শুরুতে মন্দির

Read More

দিনাজপুর পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন

admin 10/23/2024 No Comments

দিনাজপুর পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন

পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন: এক ঐতিহ্যবাহী ও কৌশলগত রেলকেন্দ্র পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে কেন্দ্র। এই জংশনটি শুধু রেলযাত্রার জন্যই নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।  ইতিহাস ও উন্নয়ন পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের ইতিহাস ১৮৭৮ সালে ব্রিটিশ শাসনামলের দিকে ফিরে যায়, যখন পূর্ববঙ্গ ও আসাম রেলওয়ে লাইন স্থাপিত হয়েছিল। সে সময় রেললাইনটি ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছিল, এবং পার্বতীপুর এই রেলপথের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এটি তখন থেকে উত্তরবঙ্গের প্রধান রেলপথের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং ভারতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে।   ১৯০৩ সালে এই জংশনে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যা অঞ্চলটির যোগাযোগব্যবস্থা ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটায়। পরে, পাকিস্তান আমলেও পার্বতীপুর জংশনের গুরুত্ব অপরিবর্তিত থাকে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশনে পরিণত হয়। আজকের দিনে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে

Read More

দিনাজপুরের ৬ সাগর সর্ম্পকে জানুন

admin 10/16/2024 No Comments

দিনাজপুরের ৬ সাগর সর্ম্পকে জানুন

দিনাজপুরের ৬ সাগর, বিশ্বজুড়ে আমরা অনেক বিখ্যাত মহাসাগর ও সাগরের নাম শুনেছি, যেমন আটলান্টিক, প্রশান্ত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর ইত্যাদি। এসব জলাশয়গুলো প্রাকৃতিকভাবে গঠিত এবং পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে মানবসৃষ্ট সাগর বলতে কী বোঝায়? বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে অবস্থিত দিনাজপুরে কিছু ব্যতিক্রমী জলাশয় আছে, যেগুলো স্থানীয়রা “সাগর” বলে থাকেন, তবে প্রকৃতপক্ষে সেগুলো দিঘি। মানবসৃষ্ট সাগরের ধারণা এবং দিনাজপুরের সাগরগুলো মানবসৃষ্ট সাগর বলতে বোঝানো হয় এমন বড় জলাশয়, যা মানবসৃষ্ট খননের মাধ্যমে তৈরি। দিনাজপুরের “সাগর” গুলোও সেই ধরনের। এগুলো ঐতিহাসিক দিঘি, যেগুলো রাজা মহারাজাদের সময়ে খনন করা হয়েছিল এবং স্থানীয় জনগণের কাছে এখনো ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। দিনাজপুরের ৬টি ঐতিহ্যবাহী সাগর দিনাজপুর জেলা শুধু ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ নয়, পর্যটকদের জন্য বিশেষ কিছু আকর্ষণও রয়েছে। এখানে আছে ৬টি ঐতিহ্যবাহী দিঘি, যেগুলো সাগর নামে পরিচিত—রামসাগর, সুখসাগর, মাতাসাগর, আনন্দ সাগর, পদ্ম সাগর, এবং জুলুম সাগর। রামসাগর: ইতিহাস ও জনপ্রিয়তা রামসাগর বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম দিঘি, যা রামনাথ রাজা খনন করেছিলেন স্থানীয় কৃষকদের চাষাবাদের

Read More