দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ

1 of
Previous Next

Ad Details

  • Ad ID: 4480

  • Added: 10/30/2024

  • Condition:

  • Views: 262

Description

হাজী মোহাম্মদ দানেশ, সৈয়দ আবদুস সামাদ সহ অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের অবদান জানুন, যাদের প্রচেষ্টা দিনাজপুরের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ (২৭ জুন ১৯০০ – ২৮ জুন ১৯৮৬): কৃষক আন্দোলনের কিংবদন্তি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ ছিলেন বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলনের এক অগ্রণী নেতা, যিনি তেভাগা আন্দোলনের ‘জনক’ হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতের অধীনে তিনি কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর অবদান ছিল শুধুমাত্র কৃষকদের অধিকার রক্ষায়, বরং তিনি সমাজের অবহেলিত জনগণের জন্যও কাজ করেছেন। তাঁর সংগ্রামী জীবন তাকে দিনাজপুরের ইতিহাসে এক স্মরণীয় নাম করে রেখেছে।

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজ, যা ১৯৯৯ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়, তাঁর অবদানের এক অনন্য স্মৃতি। এটি তার জীবনের মহান কাজের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃষি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার বিশাল অবদানকে স্মরণ করার এক প্রমাণ।

সৈয়দ আবদুস সামাদ (ডিসেম্বর ৬, ১৮৯৫ – ফেব্রুয়ারি ২, ১৯৬৪): ফুটবলের জাদুকর

সৈয়দ আবদুস সামাদ, যাকে ফুটবলের জাদুকর হিসেবে অভিহিত করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে শুরু করে পাকিস্তানের ফুটবল ইতিহাসে এক অমূল্য রত্ন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মতো নামী ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। পাকিস্তানের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল কোচ হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ১৯৬২ সালে রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হন। ৫০ বছর পর্যন্ত ফুটবল খেলা তার অসাধারণ কীর্তি।

সৈয়দ আবদুস সামাদসৈয়দ আবদুস সামাদ

ইউসুফ আলী (১৯২৩ – ১৯৯৮): মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক

ইউসুফ আলী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক অগ্রণী সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের প্রধান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ সরকারে প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে অবদান রাখেন এবং দেশের প্রথম ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার অবদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।

খুরশীদ জাহান হক (১১ আগস্ট ১৯৩৯ – ১৪ জুন ২০০৬): রাজনীতির মেরুদণ্ড

খুরশীদ জাহান হক, যিনি ‘চকলেট আপা’ নামে পরিচিত, ছিলেন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯১, ১৯৯৬, ও ২০০১ সালের নির্বাচনে দিনাজপুর-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তাঁর মহিলাদের শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন।

খুরশীদ জাহান হক

বেদারউদ্দিন আহমদ (১৫ মার্চ ১৯২৭ – ১৩ জানুয়ারি ১৯৯৮): সংগীতশিল্পী

বেদারউদ্দিন আহমদ, সংগীত জগতের এক কিংবদন্তি, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং সংগীতের প্রতি তার অসীম ভালোবাসা দিনাজপুরে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

বেদারউদ্দিন আহমদ

দিনাজপুর জেলার ইতিহাস সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে এখানে ভিজিট করুন।

মতিউর রহমান চৌধুরী: সাংবাদিকতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান

মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক, ১৯৯০ ফিফা বিশ্বকাপসহ পাঁচটি বিশ্বকাপ কভার করেছেন এবং বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাঁর কার্যক্রম এবং সাংবাদিকতায় অবদান, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অংশগ্রহণ, তাকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করেছে।

মতিউর রহমান চৌধুরী

মির্জা কাদের বক্স: আইনজীবী ও সমাজসেবক

মির্জা কাদের বক্স, একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, ১৯১৫-১৬ সালে দিনাজপুর মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার সাহসী নেতৃত্ব ও সমাজের অধিকারের জন্য তার সংগ্রাম তাকে দিনাজপুরের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৈমুর: শিক্ষার পথিকৃৎ

দিনাজপুরের প্রাথমিক যুগের অগ্রণী শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৈমুর, যারা নারীদের শিক্ষায় উৎসাহ প্রদান করে বিশেষভাবে স্মরণীয়। তার লেখাগুলি ইসলামী সাহিত্য জগতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে।

এই ব্যক্তিবর্গের অবদান শুধুমাত্র দিনাজপুরের ইতিহাসেই নয়, বরং বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।