বাংলাদেশ জুবিলী ব্যাংক সকল জেলার সুইফট কোড
Boyta abed 11/13/2024 No Comments

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুইফট কোড (SWIFT Code) একটি অপরিহার্য বিষয়। এটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহজতর এবং সুরক্ষিত করে। সুইফট কোডের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ব্যাংকের মধ্যে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে অর্থ স্থানান্তর সম্ভব। আজকের আলোচনায়, আমরা বাংলাদেশ জুবিলী ব্যাংক সকল জেলার সুইফট কোড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সুইফট কোড কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশ জুবিলী ব্যাংক সকল জেলার সুইফট কোড, সুইফট কোড হলো এক ধরনের ব্যাংক শনাক্তকরণ নম্বর। এটি ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখাকে আন্তর্জাতিক লেনদেনে চিহ্নিত করে। একটি সুইফট কোডে ৮ থেকে ১১ অক্ষর থাকে, যা ব্যাংক এবং শাখার তথ্য নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ,
– প্রথম ৪ অক্ষর: ব্যাংকের নাম।
– পরবর্তী ২ অক্ষর: দেশের কোড (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে “BD”)।
– শেষ ৩ অক্ষর: শাখার নির্দিষ্ট পরিচিতি।
বাংলাদেশ জুবিলী ব্যাংকের গ্রাহকরা আন্তর্জাতিক লেনদেন, রেমিট্যান্স গ্রহণ এবং প্রেরণের সময় সুইফট কোড ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশ জুবিলী ব্যাংকের সুইফট কোড সুবিধা
জুবিলী ব্যাংক, গ্রাহক সেবায় অত্যন্ত দক্ষ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকটি দেশে এবং বিদেশে সহজ লেনদেনের সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন শাখার জন্য নির্দিষ্ট সুইফট কোড ব্যবহার করে। সুইফট কোডের মাধ্যমে:
- লেনদেন দ্রুত হয়।
- ভুল তথ্যের ঝুঁকি কমে।
- আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
- লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
জুবিলী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সুইফট কোড
জুবিলী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সুইফট কোড হলো: JUBLBDBB ।
এটি সাধারণত সমস্ত বড় ধরনের আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহৃত হয়। তবে, নির্দিষ্ট শাখার জন্য ভিন্ন কোড প্রযোজ্য।
সকল জেলার জুবিলী ব্যাংকের সুইফট কোড
বাংলাদেশে জুবিলী ব্যাংকের শাখাগুলোর নির্দিষ্ট সুইফট কোড আছে। নিচে আমরা জনপ্রিয় কিছু জেলার সুইফট কোড উল্লেখ করছি:
১. ঢাকা শাখা
সুইফট কোড: JUBLDHBD ঢাকার প্রধান শাখা থেকে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজে পরিচালিত হয়।
২. চট্টগ্রাম শাখা
সুইফট কোড: JUBLCTBD
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।
৩. খুলনা শাখা
সুইফট কোড: JUBLKHBD
খুলনার শাখা শিল্প ও রেমিট্যান্স লেনদেনে সহায়তা করে।
৪. সিলেট শাখা
সুইফট কোড: JUBLSYBD
সিলেট শাখা বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৫. রাজশাহী শাখা
সুইফট কোড: JUBLRAJB
উত্তরাঞ্চলের লেনদেনের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
৬. বরিশাল শাখা
সুইফট কোড: JUBLBRBD
বরিশাল অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য এই কোড কার্যকর।
৭. রংপুর শাখা
সুইফট কোড: JUBLRNBD
রংপুরে ব্যবসায়িক এবং রেমিট্যান্স লেনদেন সহজতর করে।
৮. ময়মনসিংহ শাখা
সুইফট কোড: JUBLMYBD
এই শাখা ময়মনসিংহ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবাহে সহায়তা করে।
কিভাবে সঠিক সুইফট কোড ব্যবহার করবেন?
সুইফট কোড ব্যবহার করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত:
- নির্ভুল তথ্য যাচাই করুন।
- লেনদেনের আগে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- প্রাপক এবং প্রেরকের ব্যাংক বিস্তারিত সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- সুইফট কোডের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট নম্বর নিশ্চিত করুন।
যদি ভুল সুইফট কোড ব্যবহার করা হয়, তাহলে লেনদেন বিলম্বিত হতে পারে বা অর্থ ফেরত আসতে পারে।
সার্ভিস ফি এবং অন্যান্য তথ্য : জুবিলী ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেনে সাধারণত একটি সার্ভিস ফি প্রযোজ্য। এটি লেনদেনের ধরন এবং পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। সুইফট কোড ব্যবহার করলে এই ফি আরও সাশ্রয়ী হতে পারে।
জুবিলী ব্যাংক সম্পর্কে আরও তথ্য
বাংলাদেশ জুবিলী ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। সুইফট কোডের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সেবা আরও সহজতর করেছে।
ব্যাংকের প্রধান সেবা:
– সঞ্চয় এবং চলতি অ্যাকাউন্ট।
– আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স।
– ঋণ প্রদান।
– বৈদেশিক বাণিজ্য লেনদেন।
– অনলাইন ব্যাংকিং।
জুবিলী ব্যাংক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশীয় গ্রাহকদের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সংযোগ স্থাপন করেছে।
উপসংহার
বাংলাদেশ জুবিলী ব্যাংকের সুইফট কোড আন্তর্জাতিক লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিটি জেলার শাখার জন্য নির্দিষ্ট কোড নিশ্চিত করে গ্রাহকরা সঠিকভাবে লেনদেন করতে পারেন। সুইফট কোডের ব্যবহার ব্যাংকিং ব্যবস্থা সহজ এবং সুরক্ষিত করে।
আপনার প্রয়োজনীয় সুইফট কোড সঠিকভাবে জেনে নিয়ে লেনদেন শুরু করুন। জুবিলী ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংয়ের অভিজ্ঞতা উপভোগ করুন।
সুইফট কোড নিয়ে আরোও জানুন – >>>