দিনাজপুর ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
Badhon Roy 10/28/2024 No Comments
ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বংশের আদি পুরুষ নবীর মোহাম্মদ এর পুত্র ফুল মোহাম্মদ চৌধুরী নির্মিত একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্বে ৩০টি থানা নিয়ে গঠিত অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার মুসলমান জমিদারদের মধ্যে ছিল ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার। বর্ণনা ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বংশের আদি পুরুষ ছিলেন নবীর মোহাম্মদ। তিনি জলপাইগুড়ি থেকে নদীপথে ব্যবসা উপলক্ষে ঘুঘুডাঙ্গার কিছু দূরে পাথর ঘাটায় আসেন এবং বাসাবাড়ী নির্মাণ করে ৫০০টি ধানভাঙ্গা ঢেঁকি স্থাপন করে নদীপথে কলকাতার চিৎপুরেও ধান চাউলের ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন করেন। তার পুত্র ফুল মোহাম্মদ চৌধুরী ক্রমান্বয়ে বহু জমিদারী ক্রয় করেন এবং পাথর ঘাটা হতে ঘুঘুডাঙ্গার জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। ফুল মোহাম্মদের তিন পুত্র ছিল ওলি মোহাম্মদ চৌধুরী, মোজহর মোহাম্মদ চৌধুরী ও হাজী জমির উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। হাজী জমির উদ্দিনের ৫ পুত্রের নাম মহিউদ্দীন আহাম্মদ চৌধুরী, সিরাজ উদ্দীন আহমদ চৌধুরী, এমাজউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, হাজী আমিনউদ্দীন আহমদ চৌধুরী এবং হাজী রহিমউদ্দীন আহমদ চৌধুরী। ঘুঘুডাঙ্গা জমিদারী এলাকা ছিল ১১টি থানার মধ্যে। এগুলো হচ্ছে- দিনাজপুর সদর উপজেলা
Read Moreদিনাজপুর লিচু বাগান বাংলাদেশের লিচুর স্বর্গ
Sagar Kumar Kundu 10/28/2024 No Comments
দিনাজপুর লিচু বাগান, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও কৃষি সম্ভাবনার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো দিনাজপুরের লিচু বাগান। এই বাগানগুলো শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকেও গুরুত্ব বহন করে। দিনাজপুর জেলার জলবায়ু এবং মাটি লিচু চাষের জন্য আদর্শ, যা এই অঞ্চলে লিচুর উন্নতমানের ফলন নিশ্চিত করে। লিচুর বৈশিষ্ট্য দিনাজপুরের লিচু সাধারণত সুমিষ্ট, রসালো এবং সুগন্ধিযুক্ত। এর বৈশিষ্ট্য হলো: রং ও গন্ধ: দিনাজপুরের লিচুর রং সাধারণত উজ্জ্বল লাল বা হলুদ হয় এবং এর গন্ধ অনেক মিষ্টি। আকার ও স্বাদ: এই লিচুর আকার বড় এবং স্বাদ অতুলনীয়। অনেক সময় এক একটি লিচু ৮০ গ্রাম ওজনেরও হয়ে থাকে। পুষ্টিগুণ: লিচুতে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রাচুর্য রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। লিচু্ বাগানের আকর্ষণ দিনাজপুরের লিচু বাগানগুলো পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, বিশেষত লিচুর মৌসুমে (মে-জুন)। এর কিছু প্রধান আকর্ষণ: লিচুর মৌসুমি চাষাবাদ দেখার সুযোগ: লিচুর মৌসুমে বাগানগুলোতে লিচু চাষের প্রক্রিয়া কাছ থেকে দেখা যায়, যা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা।
Read Moreকড়াই বিল, বিরল – দিনাজপুরের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
admin 10/28/2024 No Comments
কড়াই বিল বিরল, দিনাজপুর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বিশেষ জলাভূমি। এটি স্থানীয় প্রকৃতি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এই বিলটি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। ভৌগোলিক অবস্থান কড়াই বিল দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় অবস্থিত। এটি প্রায় ২৫০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, যা বর্ষাকালে জলবদ্ধ হয়ে যায়। এর আশেপাশের পরিবেশ উর্বর এবং কৃষি কাজের জন্য উপযোগী। জীববৈচিত্র্য কড়াই বিলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, মাছ এবং জলজ উদ্ভিদের বিস্তৃতি রয়েছে। এখানে হাঁস, বক, মছার প্রজাতি, এবং নানা ধরনের জলজ গাছ যেমন পাট, কাচকুঁচি, শিংগি ইত্যাদি দেখা যায়। এই বিলটি স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবেশগত গুরুত্ব কড়াই বিলের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি বর্ষাকালে জল ধারণ করে, যা এলাকার কৃষির জন্য অপরিহার্য। বিলটি স্থানীয় মাটি সেচের পাশাপাশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সাংস্কৃতিক গুরুত্ব স্থানীয় জনগণের জন্য কড়াই বিল একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন ধরনের উৎসব
Read Moreচিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের পুকুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার
Sagar Kumar Kundu 10/28/2024 No Comments
চিরিরবন্দর উপজেলা, দিনাজপুর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এর অন্যতম আকর্ষণ হলো চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের পুকুর। এটি শুধু একটি পুকুর নয়, চিরিরবন্দরের মানুষের জন্য একটি প্রিয় জায়গা এবং উপজেলাটির প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত অংশ। পুকুরটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে যেমন শীতল পরিবেশের উৎস, তেমনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও পরিচিত। পুকুরের অবস্থান ও গুরুত্ব চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের মূল প্রাঙ্গণে অবস্থিত এই পুকুরটি, পরিষদের নান্দনিকতার সঙ্গে মিশে গেছে। এটি পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধনে যেমন অবদান রাখছে, তেমনি স্থানীয় মানুষদের জন্যও এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পুকুরটি পরিষদের মূল ভবন এবং আশপাশের এলাকাগুলোর সঙ্গে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখে। বিশাল জলরাশি, সবুজ গাছপালা এবং শান্ত পরিবেশ পুকুরটিকে একটি অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করেছে। পুকুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পুকুরটির চারপাশে ঘন সবুজ বৃক্ষরাজি রয়েছে যা পুকুরের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে। সকালে সূর্যের আলো যখন পুকুরের পানিতে পড়ে, তখন এটি এক অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করে। স্থানীয় পাখির কলতান, বাতাসের মৃদু সুর, এবং পানির ঠাণ্ডা শিহরণ পুকুরের চারপাশে এক স্বর্গীয়
Read Moreদিনাজপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
admin 10/28/2024 No Comments
দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, দিনাজপুর জেলা সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে ১১২-১২০ ফুট গড় উচ্চতায় অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে এ জেলা ২৫০১৪ এবং ২৫০৩৮ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮০০৫ ও ৮৫০২৮ ডিগ্রী দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ১৩ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলার আয়তন ৩৪৩৭.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। ২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী এর মোট জনসংখ্যা ৩৩,১৫,২৩৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ১৬,৬০,৯৯৭ জন এবং মহিলা ১৬,৫৩,৩০৫ জন। উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে বিস্তৃত এ জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়, দক্ষিণে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট, পূর্বে নীলফামারী ও রংপুর জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। লোকশ্রুতি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে বৃটিশ শাসনামলে ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে বৃটিশরা নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে এ জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর। কোম্পানী আমলের নথিপত্রে প্রথম দিনাজপুর নামটি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। তবে ভৌগলিকভাবে দিনাজপুর মৌজাটি অতি প্রাচীন। দিনাজপুরের ভূতপূর্ব কালেক্টর ও বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ মিঃ ওয়েষ্ট মেকট সর্বপ্রথম দিনাজপুর নাম ও তার উৎস
Read Moreবিরামপুর রখুনি কান্ত জমিদার বাড়ি দিনাজপুর জেলা
Badhon Roy 10/27/2024 No Comments
বিরামপুর রখুনি কান্ত জমিদার বাড়ি, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার রতনপুরে অবস্থিত রখুনি কান্ত জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই বাড়িটি অষ্টাদশ শতাব্দীর স্থাপত্যের একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। বর্তমান অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িটির যথাযথ সংস্কার না হওয়ায় বাড়িটির অনেক অংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। বাড়ির দেয়াল ফাটল ধরেছে, ছাদ ভেঙে গেছে এবং অনেক কামরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জমিদার বাড়ির ভবন এখন ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে রয়েছে। এছাড়াও জমিদারদের সম্পত্তির উপর এখন একটি ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ রয়েছে। ইতিহাস বিরামপুর উপজেলার উত্তরে ১২ কিলোমিটার দুরে খানপুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অষ্টাদশ শতকের জমিদার বাড়িসহ জমিদারের ১২শ বিঘা জমি বনজ ফলজ ও ওষুধি বাগান রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্রিটিশরা অষ্টাদশ শতকে ফুলবাড়ি জমিদারের পক্ষে খাজনা আদায়কারী হিসাবে রাজকুমার সরকারকে বিরামপুরের রতনপুর কাচারীতে প্রেরণ করা হয়। এখান থেকে তিনি বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ফুলবাড়ী এলাকার প্রজাদের নিকট থেকে নৈপুণ্য ও যোগ্যতার সাথে খাজনা আদায় করতেন। আদায়কারী কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে
Read Moreদিনাজপুর জেলা কেন বিখ্যাত
admin 10/24/2024 No Comments
দিনাজপুর জেলা কেন বিখ্যাত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী জেলা দিনাজপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষি উৎপাদন এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। একসময় এই জেলা কয়লা ও আখ চাষের জন্য খ্যাতি লাভ করেছিল। সময়ের পরিবর্তনে দিনাজপুরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে লিচুর চাষ, যা আজ সারা দেশে বিখ্যাত। বাংলাদেশের মোট লিচুর উৎপাদনের বড় অংশ আসে এই অঞ্চল থেকে। শুধু লিচুই নয়, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল এবং সুস্বাদু চিড়া দেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। এছাড়াও এখানকার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও স্থানীয় খাবারের স্বাদ ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করে। দিনাজপুরের কৃষি-ভিত্তিক সমৃদ্ধি, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং খাবারের বৈচিত্র্য এই জেলাকে অনন্য করে তুলেছে। লিচুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই জেলা দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ইতিহাস, প্রকৃতি এবং স্বাদের অনন্য মেলবন্ধনে দিনাজপুর আজ বাংলাদেশের গর্ব। দিনাজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ দিনাজপুর জেলায় ভ্রমণ ও দর্শনীয় স্থান সমূহ এর মধ্যে দীপশিখা স্কুল, দিনাজপুর রাজবাড়ী, কুমার মহল, আয়না মহল, আটচালা ঘর, ঠাকুরবাড়ি, রানী পুকুর, রানীমহল, নয়াবাদ মসজিদ, রামসাগর দিঘী,কান্তজির মন্দির অন্যতম। ১। দিনাজপুর রাজবাড়ী দিনাজপুর
Read Moreদিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা শিশু পার্ক
Badhon Roy 10/23/2024 No Comments
বীরগঞ্জ উপজেলা শিশু পার্ক দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় শিশু বিনোদন কেন্দ্র। এই পার্কটি এলাকাবাসীর জন্য বিশেষ করে শিশুদের মনোরঞ্জন ও শারীরিক বিকাশের সুযোগ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। পার্কটি শিশুদের পাশাপাশি পরিবারের সব বয়সী মানুষের জন্যও আকর্ষণীয় একটি স্থান হয়ে উঠেছে। স্থাপনার পটভূমি বীরগঞ্জ উপজেলা শিশু পার্কের প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল উপজেলাবাসী, বিশেষ করে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং সুন্দর বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা। এলাকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং শহরাঞ্চলে শিশুদের জন্য খেলার জায়গার সংকটকে কেন্দ্র করে, পার্কটি তৈরি করা হয়েছে যাতে শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে সহায়তা করা যায়। এটি স্থানীয় প্রশাসনের এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি সফল উদ্যোগ। আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা বীরগঞ্জ শিশু পার্কটি বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। পার্কে শিশুদের জন্য দোলনা, স্লাইড, সী-সো সহ বিভিন্ন রাইড এবং খেলার উপকরণ রয়েছে। এছাড়াও, পার্কে হাঁটার জন্য সুন্দর পথ, বসার ব্যবস্থা এবং সবুজের মাঝে খোলা জায়গা রয়েছে যা শিশু এবং তাদের পরিবারকে আনন্দ উপভোগ করতে
Read Moreকান্তজীউ মন্দির দিনাজপুর ঐতিহ্যের এক অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শন
Sagar Kumar Kundu 10/23/2024 No Comments
কান্তজীউ মন্দির দিনাজপুর, কান্তজিউ মন্দির বা কান্তজীর মন্দির হচ্ছে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অবস্থিত একটি মধ্যযুগের হিন্দু মন্দির। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মিত করেছিলেন। এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুত্র রাজা রামনাথ রায়ের রাজত্বকালে শেষ হয়। ১৮৯৭ সালে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পে মন্দিরটির নবরত্ন বা ‘নয় শিখর’ ধ্বংস হয়ে যায় । এ মন্দিরে বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে যা একটি দেখার মত নিদশন। পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই মন্দিরের নির্মাণ এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সুদূর পারস্য থেকে নির্মান শিল্পীদের আনা হয়েছিল । মন্দিরের দক্ষিণ দিকে নয়াবাদ নামক গ্রামে রাজা প্রাণনাথ নির্মাণ শিল্পী এবং শ্রমিকদের বসবাসের জন্য জমি দান করেন। এই শ্রমিকদের অধিকাংশই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তাই ধর্মীয় প্রার্থনা পালনের জন্য তারা নয়াবাদ মসজিদ নির্মাণ করেন যা একই এলাকার আরেকটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। বহু বছর ধরে প্রতি বছর শীতের শুরুতে মন্দির
Read Moreদিনাজপুর পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন
admin 10/23/2024 No Comments
পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন: এক ঐতিহ্যবাহী ও কৌশলগত রেলকেন্দ্র পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে কেন্দ্র। এই জংশনটি শুধু রেলযাত্রার জন্যই নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। ইতিহাস ও উন্নয়ন পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের ইতিহাস ১৮৭৮ সালে ব্রিটিশ শাসনামলের দিকে ফিরে যায়, যখন পূর্ববঙ্গ ও আসাম রেলওয়ে লাইন স্থাপিত হয়েছিল। সে সময় রেললাইনটি ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছিল, এবং পার্বতীপুর এই রেলপথের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এটি তখন থেকে উত্তরবঙ্গের প্রধান রেলপথের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং ভারতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে। ১৯০৩ সালে এই জংশনে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যা অঞ্চলটির যোগাযোগব্যবস্থা ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটায়। পরে, পাকিস্তান আমলেও পার্বতীপুর জংশনের গুরুত্ব অপরিবর্তিত থাকে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশনে পরিণত হয়। আজকের দিনে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে
Read More