দিনাজপুরের পাপড়

1 of
Previous Next

Ad Details

  • Ad ID: 4667

  • Added: 10/30/2024

  • Condition:

  • Views: 57

Description

দিনাজপুরের পাপড় বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি সাধারণত চালের গুঁড়া, ডাল, বিভিন্ন মসলা এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। দিনাজপুরের পাপড় একটু মচমচে ও স্বাদে ভিন্ন ধরনের হয়। সাধারণত ভাজা বা ভাঁপ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়, এবং খাবার টেবিলে নাস্তা বা খাবারের সাইড ডিশ হিসেবে পরিবেশন করা হয়।

দিনাজপুরের পাপড়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর স্বাদ এবং গন্ধ। এই অঞ্চলের মশলা ও প্রস্তুতির ধরন এর স্বাদে বিশেষ এক ধরনের বৈচিত্র্য এনে দেয়, যা একে দেশের অন্য অঞ্চলের পাপড় থেকে আলাদা করে।

দিনাজপুরের পাপড়

কীভাবে পাপড় তৈরি হয়:

পাঁপড় তৈরির মূল কাঁচামাল মুগ, খেসারি, বেসন, সয়াবিন ও পাম অয়েল। কারিগরদের হাতের ছোঁয়ায় তা হয়ে ওঠে দৃষ্টিনন্দন ও মুখরোচক। পাঁপড় তৈরি করা হয় উন্নতমানের চাল ও ডালের মিহি গুঁড়া কিংবা ময়দা দিয়ে। প্রথমে সমপরিমাণ মুগ ও মাসকলাই একসঙ্গে মিশিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ভেঙে গুঁড়া করা হয়। ফুটানো পানির সঙ্গে লবণ, জিরা, কালিজিরা, গোলমরিচ গুঁড়া, দই, সোডা, হিং ও আমচুর দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। 

এর সঙ্গে মুগ ও মাসকলাই ডালের মিহি গুঁড়া ও ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট রোলিং করে পাঁপড় তৈরির উপযুক্ত মণ্ড তৈরি করেন কারিগররা। মণ্ডটিকে লম্বালম্বি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সুতা দিয়ে কেটে নেওয়া হয়। গোলাকৃতির মসৃণ কাঠের পিঁড়িতে বেলোনচাপ দেওয়া হয়। এভাবে কয়েকবার এপিঠ-ওপিঠ করলে পাঁপড় তৈরি হয়। এগুলো ২০ থেকে ২৫ মিনিট কড়া রোদে ও পরবর্তী সময়ে সারাদিন হালকা রোদে শুকানো হয়।

পাপড় তৈরির মূল কাঁচামাল মুগ, খেসারি, বেসন, সয়াবিন ও পাম অয়েল। কারিগরদের হাতের ছোঁয়ায় হয়ে ওঠে তা দৃষ্টিনন্দন ও মুখরোচক। পাপড় তৈরি করা হয় উন্নতমানের চাল ও ডালের মিহি গুঁড়া কিংবা ময়দা দিয়ে। প্রথমে সমপরিমাণ মুগ ও মাষকলাই একসঙ্গে মিশিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ভেঙে গুঁড়া করা হয়। ফুটানো পানির সঙ্গে লবণ, জিরা, কালিজিরা, গোলমরিচ গুঁড়া, দই, সোডা, হিং ও আমচুর দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে মুগ ও মাষকলাই ডালের মিহি গুঁড়া ও ঠান্ডা পানি মিশিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রোলিং করে পাপড় তৈরির উপযুক্ত মণ্ড তৈরি করেন কারিগররা। মণ্ডটিকে লম্বালম্বি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সুতা দিয়ে কেটে নেওয়া হয়।

গোলাকৃতির মসৃণ কাঠের পিঁড়িতে বেলনচাপ দেওয়া হয়। এভাবে কয়েকবার এপিঠ-ওপিঠ করলে পাপড় তৈরি হয়। এগুলো ২০ থেকে ২৫ মিনিট কড়া রোদে ও পরবর্তী সময়ে সারাদিন হালকা রোদে শুকানো হয়।

দিনাজপুরে পাপড় তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত আছেন অনেক শ্রমিক ও ব্যবসায়ী। দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি, বাসুনিয়াপট্টি, চুরিপট্টি, রাজবাড়ী, গুঞ্জাবাড়ী, ঘাষিপাড়া, ফকিরপাড়া, বড়বন্দর ও জগেন বাবুর মাঠ এলাকার ব্যবসায়ীরা পাপড় তৈরির সঙ্গে জড়িত।

দিনাজপুরের পাপড়মুখরোচক খাবার পাঁপড়:

মুখরোচক খাবার পাঁপড়। তা যদি হয় দিনাজপুরের, তাহলে তো কথাই নেই। দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী মুগ, খেসারি ও বেসনের তৈরি পাপড়ের কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে। সুস্বাদু আর মুখরোচক হওয়ায় এক সময় এর চাহিদা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে। রাজা-বাদশাদের খাদ্য তালিকায়ও ছিল এই পাঁপড়। দিনাজপুরের এই পাঁপড়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রায় কয়েকশ বছরের ইতিহাস।

পুরোনো ঝাঁকড়া বটগাছের নিচে বসা ছোট ছোট দোকানে ভাজা হয় মুগের পাঁপড়। ওপরে ছিটিয়ে দেওয়া হয় হালকা ঝাল বিট লবণ। পুরো বছর জেলার গ্রামগঞ্জের প্রায় প্রতিটি হাটবাজারে পাঁপড় পাওয়া যায়। মেলাগুলো যেন পাঁপড়ের দোকান ছাড়া জমেই না। 

দিনাজপুরের পাপড় পরিচিতি:

দিনাজপুরে ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের কাছে বাহারি আর বিভিন্ন আকারের পাঁপড় তৈরির দৃশ্য অতিপরিচিত। কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা স্কুলের টিফিনে একটি আধুলি কিংবা ১ টাকার কয়েন দিয়ে বড় একখানা পাপড় কিনে তা অল্প অল্প করে অতি সাবধানে ভেঙে খাওয়ার দৃশ্য এখনো চোখে পড়বে। সরু সুগন্ধি চাল, লিচু আর কাটারিভোগ চালের চিড়ার পাশাপাশি দিনাজপুরের পাপড়ের চাহিদা এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে।

দিনাজপুরে পাপড়ের জন্য বিখ্যাত স্থান:

দিনাজপুর শহরের চকবাজার, নতুনপাড়া, বাসুনিয়াপট্টি, চুড়িপট্টি, রাজবাড়ি, গুঞ্জাবাড়ি, ফকিরপাড়া, বড়বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয় পাঁপড়। সাধারণত মসুর, ছোলা, মাসকলাই, চাল, আলু ইত্যাদির গুঁড়ো ও খামি থেকে এটি বানানো হয়। তবে দিনাজপুরের মুগ ও খেসারির ডাল এবং বেসনের পাঁপড় বেশ বিখ্যাত। সারাদেশের নিরামিষাশীদের মধ্যে মুগ ডালের পাঁপড়ের চাহিদা ব্যাপক। মূল উপাদান ডাল হলেও পাঁপড়ের স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে খামিরের সঙ্গে জিরা, মরিচ, বাদাম কিংবা কালিজিরা মেশানো হয়।

দক্ষিণ ভারতের এই খাবার দিনাজপুরে কীভাবে প্রচলিত হলো, তা নিয়ে বিভিন্ন গল্প শোনা যায় লোকমুখে। এটাও জানা যায়, দিনাজপুরের রাজপরিবারের খাদ্য তালিকায়ও ছিল মুগের পাঁপড়। ফলে এই অঞ্চলে পাঁপড়ের ইতিহাস যে কয়েকশ বছরের পুরোনো, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

পাঁপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি:

পাঁপড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা গেলেও এখন পাঁপড় মুখরোচক নাশতার অন্যতম অনুষঙ্গ। শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে হোক বা শীতের দিন, চায়ের সঙ্গে পাঁপড় ভাজা কিংবা পাঁপড় ভেঙে দিয়ে মুড়িমাখা অথবা শুধু ভাজা পাঁপড় খাওয়া এক অন্য আবেশ তৈরি করে দিনাজপুরের পাঁপড় এখন ঢাকাসহ সারাদেশে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সুপার স্টোরে তো বটেই, বড় মুদি দোকানেও কেজি হিসেবে বিক্রি হয় পাঁপড়। 

মুগ ডালের পাপড়:

মুখরোচক খাবার পাপড়। তা যদি হয় দিনাজপুরের তবে তো কথাই নেই। দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী মুগ, খেসারি ও বেসনের তৈরি পাপড়ের কথা শুনলে সবার জিভে জল চলে আসে। সুস্বাদু আর মুখরোচক হওয়ায় একসময় এর চাহিদা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশজুড়ে। রাজা-বাদশাদের খাদ্যতালিকায়ও ছিল এই পাপড়। এ পাপড়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রায় ৬০০ বছরের ইতিহাস।

প্রস্তুতপ্রণালি:

পাপড় তৈরির মূল কাঁচামাল মুগ, খেসারি, বেসন, সয়াবিন । কারিগরদের হাতের ছোঁয়ায় হয়ে ওঠে তা দৃষ্টিনন্দন ও মুখরোচক। পাপড় তৈরি করা হয় উন্নতমানের চাল ও ডালের মিহি গুঁড়া কিংবা ময়দা দিয়ে।প্রথমে মুগ মেশিনের মাধ্যমে ভেঙে গুঁড়া করা হয়। ফুটানো পানির সঙ্গে লবণ, জিরা, কালিজিরা, গোলমরিচ গুঁড়া, দই, সোডা, হিং ও আমচুর দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে মুগ বা মাষকলাই ডালের মিহি গুঁড়া ও ঠান্ডা পানি মিশিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রোলিং করে পাপড় তৈরির উপযুক্ত মণ্ড তৈরি করেন কারিগররা। মণ্ডটিকে লম্বালম্বি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সুতা দিয়ে কেটে নেওয়া হয়।গোলাকৃতির মসৃণ কাঠের পিঁড়িতে বেলনচাপ দেওয়া হয়। এভাবে কয়েকবার এপিঠ-ওপিঠ করলে পাপড় তৈরি হয়। এগুলো ২০ থেকে ২৫ মিনিট কড়া রোদে ও পরবর্তী সময়ে সারাদিন হালকা রোদে শুকানো হয়।

সম্পূর্ন নিজস্ব তত্তাবধানে তৈরি করে নেওয়া হয় ,যা স্বাস্থসন্মত।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : পণ্যের মান নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে পণ্য পরিবর্তন অথবা মূল্য ফেরত যোগ্য। আপনার যে কোন পরামর্শ বা উপদেশ সাদরে গ্রহন করা হবে। যা নিরাপদ খাদ্য ও পণ্য ব্যবহারের আন্দোলনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

 দিনাজপুরের ঐতিয্যবাহী মুগ ডালের প্রিমিয়াম পাপড়’এর মূল্য :

👉দিনাজপুরের ঐতিয্যবাহী মুগ ডালের প্রিমিয়াম পাপড়’এর মূল্য  ১ কেজি : ৭৫০/ টাকা ।

👉সুগন্ধি কাটারিভোগ চিড়া’এর মূল্য ’এর মূল্য  ৫ কেজি : ১,২৫০ /- টাকা ।

👉সুগন্ধি কাটারিভোগ চিড়া’এর মূল্য   ১০ কেজি : ২,৫০০/ টাকা ।

👉সুগন্ধি কাটারিভোগ চাল’এর মূল্য   ২৫ কেজি : ৩,২৫০/ টাকা ।

আরো পড়ুন->>>

দিনাজপুর রামসাগর
দিনাজপুর লিচু বাগান