দিনাজপুরের কবি সাহিত্যিকদের তালিকা
Sagar Kumar Kundu 10/31/2024 No Comments

দিনাজপুরের কবি সাহিত্যিকদের তালিকা
দিনাজপুর, বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক জেলা, যা তার সাহিত্যিক প্রতিভার জন্য পরিচিত। এই জেলার কবি ও সাহিত্যিকরা তাঁদের অসাধারণ রচনা ও চিন্তাধারার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। দিনাজপুরের সাহিত্যিকদের মধ্যে যেমন লোককথা, কবিতা, উপন্যাস ও নাটক রচনার ধারা রয়েছে, তেমনি তাঁরা সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেছেন। এই প্রতিবেদনে আমরা দিনাজপুরের কিছু প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিকদের সম্পর্কে জানব, যাঁদের কাজগুলি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে এবং তাঁদের সৃষ্টির মাধ্যমে দিনাজপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সামনে এনেছে।
স্বভাব কবি মোঃ নূরুল আমিন
মোঃ নূরুল আমিন ছিলেন একজন বিশিষ্ট স্বভাব কবি, দিনাজপুরের সাহিত্য ও সাংবাদিকতার অন্যতম প্রথিকৃৎ। এই কবি বর্তমানে চিরনিদ্রায় শায়িত। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ঘোনাপাড়া গ্রামে, একটি বনেদী মুসলিম পরিবারে। পিতা অলিমুদ্দীন সরদার এবং মাতা মোওলাতুন্নেছা পরিবিবি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর কাব্যচর্চার শুরু। ১৯৩১ সালে গুরু ট্রেনিং পরীক্ষায় কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের মেধা তালিকায় ১৭তম স্থান অধিকার করেন তিনি, তবে গুরুগিরি তাঁকে ধরে রাখতে পারেনি। এরপর দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন এবং ১৯৪৫ সালে দিনাজপুরে এসে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
কবি নূরুল আমিন ছিলেন সহজাত প্রতিভাসম্পন্ন একজন কবি এবং সাংবাদিক। তখন দিনাজপুরে সাহিত্যিক চর্চা কেবল শুরু হচ্ছে। সাহিত্যের আড্ডাগুলোও ছিল অনানুষ্ঠানিক, কিন্তু প্রাণবন্ত। কবি মোঃ নূরুল আমিন এবং তাঁর সমমনা ব্যক্তিবর্গ আড্ডার আসর বসাতেন মুন্সিপাড়ার দবিরের চায়ের দোকানে বা গাছতলায়। এই আসরে উপস্থিত ছিলেন কবি কাজি কাদের নেওয়াজ, মঈনুদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী, সোলেমান আলী প্রমুখ। তাঁদের সান্নিধ্যে সাহিত্যের প্রাণবন্ত বিকাশ ঘটে।
স্বাধীনতার পরও কবি মোঃ নূরুল আমিন দিনাজপুরের সাহিত্যিক চর্চায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি ‘‘নওয়াজ সাহিত্য মজলিশ’’ গঠন করেন এবং তরুণ কবি-সাহিত্যিকদের উৎসাহ দিয়ে তাদের কাব্যসৃষ্টির পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে দিনাজপুর দর্পণ কাব্য, নবী কাহিনী, সৃষ্টির বিচিত্র লীলা, গুঞ্চায়ে উম্মিদ, নতুন ছড়া, এবং ছেলেমেয়েদের প্রথম পাঠ। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ৩০০-এর বেশি পান্ডুলিপি পাক হানাদার বাহিনী পুড়িয়ে দেয়, যা তাঁর জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়।
কবিতার পাশাপাশি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন একজন অগ্রণী ব্যক্তি। ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক-এর দিনাজপুর সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। দিনাজপুরে সাংবাদিকতার বিকাশে তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৫ সালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব গঠিত হলে প্রথমে তাঁকেই সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, যদিও রাজনৈতিক কারণে তিনি পরে সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। পরবর্তীতে আবারো তাঁকে প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং দীর্ঘ একযুগ ধরে প্রেসক্লাবের সাথে থেকে তিনি সাংবাদিকদের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
কবি মোঃ নূরুল আমিনের অবদান দিনাজপুরের সাহিত্য ও সাংবাদিকতার জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০০০ সালের ২২শে নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দিনাজপুরবাসী তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এবং তাঁর অবদান চিরদিন বেঁচে থাকবে।
পন্ডিত মহেশচন্দ্র তর্কচুড়ামনিঃ
ভারতের বিখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত এবং দিনাজপুরের রাজপুরোহিত ও সভাপণ্ডিত ছিলেন এই পণ্ডিত মহাশয়। তিনি বহু সংস্কৃত কাব্যের রচয়িতা ছিলেন, যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তাঁর খ্যাতিপূর্ণ গ্রন্থ রাজবংশনম। এ ছাড়াও তিনি আরও একটি জ্ঞানে পরিপূর্ণ সংস্কৃত কাব্যের রচয়িতা ছিলেন। অধ্যাপক প্রিয়বন্ধন সেন ও পি.আর.এম-এর রচিত Western Influence on Bengali Literature নামক বিখ্যাত গ্রন্থে তাঁর প্রজ্ঞা এবং অসামান্য জ্ঞানগরিমার বিশেষ আলোচনা স্থান পেয়েছে। এই বিশিষ্ট পন্ডিতের জন্ম ১৮৪১ সালে এবং তিনি পরিণত বয়সে ১৯২৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে রাজারামপুর গ্রামে ছিল তাঁর বাসভূমি।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৈমুরঃ
দিনাজপুরের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় কৃতি সন্তান, প্রাথমিক যুগের অগ্রণী শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৈমুর। তিনি দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার মহল্লার অধিবাসী ছিলেন, যেখানে তাঁর ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বাসভবনটি আজও বিদ্যমান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ, ন্যায়পরায়ণ, সরল, এবং অমায়িক একজন ব্যক্তিত্ব। অত্যন্ত জ্ঞানপিপাসু এই ব্যক্তি ইসলামী সাহিত্যচর্চায় নিবেদিতপ্রাণ গবেষক ছিলেন। তাঁর রচিত কোরআন প্রবেশিকা ‘তারা জানেনা ইসলাম কি’, ‘মুসলমানের তেত্রিশ কোটি দেবতা’ প্রভৃতি গ্রন্থ তাকে একজন যশস্বী লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
দিনাজপুরে শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৈমুর ছিলেন পথিকৃৎ। সেই সময়, যখন শিক্ষার ক্ষেত্রে দিনাজপুর ছিল ‘আইয়্যামে জাহেলিয়াত’-এর যুগে, তিনি শিক্ষার আলো ছড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কর্মজীবনে তিনি গ্রামাঞ্চলে মক্তব, মাদ্রাসা এবং স্কুল প্রতিষ্ঠায় সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার অনুমোদিত করার ব্যবস্থা করতেন। নারী শিক্ষার প্রসারেও তিনি অগ্রগামী ছিলেন। তাঁর সন্তানরাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন এবং উচ্চপদে আসীন হন। শেষ বয়সে চিকিৎসার জন্য তিনি কলকাতায় যান এবং সেখানেই ১৯৪৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
পণ্ডিত গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য:
গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য, যিনি প্রধানত পণ্ডিত স্যার নামে পরিচিত, ছিলেন জেলা স্কুলের অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি ধর্মসভা সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়ের অবৈতনিক অধ্যক্ষের পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। শিক্ষাদানে তাঁর দক্ষতা ছিল অসাধারণ; তিনি শুধু শিক্ষার্থীকে পাঠ দিতেন না, বরং শিশু সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত সুলেখক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শিশুদের জন্য অনেক মনোরঞ্জক গ্রন্থ রচনা করে তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে “মৎস্য কন্যা” এবং “গুজরাতি হাতী” উল্লেখযোগ্য, এবং তাঁর আরও অনেক প্রকাশিত না হওয়া পান্ডুলিপি রয়েছে।
তার জীবনের শেষের দিকে তিনি একটি সামাজিক নাটক লিখেছিলেন, “পাঁচ বিবি,” যা এখনও গন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি, তবে নবরূপী নাট্য সমিতির মাধ্যমে মঞ্চস্থ হয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। যদিও তিনি শিশু সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত, তবে শিশুর শিক্ষক হিসেবে তাঁর সাফল্যই বেশি। শিক্ষার্থীরা তাঁর প্রতি সম্মান ও ভক্তি প্রকাশ করে নমস্কার জানাতে ছুটে আসত, এবং ভয়ের কারণে দূরে সরে যেত না। এটা সত্যিই remarkable, যে একজন শিক্ষক কতটা ছাত্রপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন। বর্তমানের ছাত্র–শিক্ষকের সম্পর্কের অবক্ষয়ের পটভূমিতে এই সৌভাগ্যশালী সম্পর্কটি আমাদের মনে পড়ে। তিনি ১৯৯৬ খ্রীষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
মাওলানা আয়েন উদ্দিন আহমদঃ
বিশ শতকের বিশ ও ত্রিশের দশকে তিনি লালবাগ আরবী মাদ্রাসায় দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন। কলকাতার বাসিন্দা মাওলানা আয়ন উদ্দিন ছিলেন আরবি সাহিত্য এবং বিশেষত কোরআন, হাদিস, ফেকাহ্ প্রভৃতি শাস্ত্রে অসাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন আলেম। ইসলামের প্রচারে তাঁর বিশেষ সুনাম ছিল।
অধ্যাপক আব্দুল বাকী:
দিনাজপুরের মুসলিম সমাজের প্রথম যুগের উচ্চশিক্ষিত শিক্ষাবিদ হিসেবে অধ্যাপক আব্দুল বাকী ছিলেন সত্যিকারের গৌরবের প্রতীক। সেই সময়, যখন মুসলিম সমাজে লেখাপড়ার প্রচলন প্রায় ছিল না, সেই অন্ধকার যুগেই অসাধারণ মেধাবী ছাত্র আব্দুল বাকী কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন, এবং রেকর্ড নম্বরসহ এমএ পাস করেন। ১৯৩২ সালে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন।
তিনি আজীবন সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন এবং পাঠদানের পাশাপাশি গবেষণা ও লেখালেখিতে নিবেদিত ছিলেন। অধ্যাপক বাকীর আরবি, ফারসি, ইংরেজি, বাংলা, ও উর্দু ভাষায় গভীর পাণ্ডিত্য ছিল, এবং তিনি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও প্রবন্ধ লিখতেন। ইকবালের দর্শনে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে তিনি ইকবালের কবিতায় গবেষণা করেন এবং এ বিষয়ে তাঁর বেশ কিছু প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সরল ও মনোমুগ্ধকর ভঙ্গিতে বক্তব্য রাখতেন, যা শ্রোতাদের গভীরভাবে আকর্ষণ করত।
কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত না হলেও, তাঁর জ্ঞানগর্ভ লেখাগুলো বহু প্রবন্ধের আকারে ছড়িয়ে আছে। পশ্চিম দিনাজপুর থেকে উদ্বাস্তু হয়ে তিনি দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গায় বসতি স্থাপন করেন। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮১ সালে তিনি অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
কবি নূর মোহাম্মদঃ
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর বাংলাদেশের প্রাথমিক যুগের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ। কবি হিসেবে তাঁর প্রতিভার পাশাপাশি তিনি গান, উপন্যাস, নাটক, জীবনী এবং প্রবন্ধ রচনায়ও দক্ষ ছিলেন। গৌড়বঙ্গ সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এবং নওরোজ সাহিত্য মজলিশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি, এবং তাঁর কাব্য, উপন্যাস, ইতিহাস ও জীবনী গ্রন্থের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। নুর মোহাম্মদের জন্ম ১৯২৩ সালে এবং তিনি ১৯৮৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
চারণ কবি আমিরুদ্দিন সরকারঃ
কবি গানের সরকার হিসেবে তিনি জীবদ্দশায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন, বিশেষ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তিনি শতাধিক কবিতা রচনা করেছেন, যদিও প্রতিটি পুস্তিকা মাত্র ১০-১৫ পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ। তাঁর চেহারা, কথাবার্তা, এবং কবিতা পাঠের সময় মজলিশ ও কবিগানের আসরে তিনি ছিলেন একজন রসিক মানুষ। বার্ধক্যে, আশির দশকে পাটুয়াপাড়ায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম, যিনি ত্রিশ-চল্লিশের দশকের সুকণ্ঠ গায়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তিনি নিজেও আশির দশকে মৃত্যুবরণ করেন।
সুসাহিত্যিক আমিনুল হক (খাঁন বাহাদুর)
খ্যাতনামা উপন্যাসিক, নাট্যকার ও সরকারি উচ্চতর কর্মকর্তা আমিনুল হক ছিলেন মির্জাপুরের মির্জা বংশের অন্যতম কৃতী সন্তান। তিনি বহু মূল্যবান গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন এবং বিভাগপূর্ব যুগে তাঁর লেখা টাইগার হিল উপন্যাস ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। চাকুরী থেকে অবসর জীবনে তিনি অনেক গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে কাফের (নাটক) উল্লেখযোগ্য। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখিকা লায়লা সামাদ ছিলেন তাঁর কন্যা।
নওরোজ সাহিত্য মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং স্থানীয় নাট্যাভিনয়ের সঙ্গে জড়িত আমিনুল হকের সাহসী প্রচেষ্টার ফলে তাঁর রচিত সংঘর্ষ নাটকে প্রথম নারী শিল্পীর অভিনয়ের সূচনা হয় দিনাজপুরের নাট্যমঞ্চে (১৯৫৪)। দিনাজপুর রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে এটি ছিল তাঁর প্রথম কৃতিত্ব। তিনি ছিলেন বিভিন্ন মহলের সম্মানিত ব্যক্তি এবং তাঁর অত্যাধুনিক ও পরিচ্ছন্ন রুচিবোধের কারণে আমিনুল হককে বলা হত “Most Unpopularly Popular Man in Dinajpur”। তিনি ১৯৬০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
দিনাজপুর সম্পর্কে আরোও জানুন->>>
দিনাজপুর জেলার ইতিহাস
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
দিনাজপুরের নয়াবাদ মসজিদ
দিনাজপুরের ধর্মপুর শালবন
দিনাজপুর লিচু বাগান: বাংলাদেশের লিচুর স্বর্গ
দিনাজপুর এর আরোও কিছু বিষয় নিয়ে জানুনঃ